শুক্রবার ৬ জুন ২০২৫ - ১৮:৫৮
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের বন্ধুত্ব রূপ নিল শত্রুতায়!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের মধ্যে কথার যুদ্ধ এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে, এর প্রভাব টেসলা কোম্পানির শেয়ারের ওপর পড়েছে এবং শেয়ারের মূল্য ১৭.৬ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।

হাওজা নিউজ এজেন্সী রিপোর্ট অনুযায়ী, টেসলা প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধুত্ব ভেঙে এখন প্রকাশ্য শত্রুতায় পরিণত হয়েছে, এবং উভয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন। ইলন মাস্ক অভিযোগ করেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নাম কুখ্যাত যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িত জেফরি অ্যাপস্টেইনের ফাইলগুলিতে রয়েছে। মাস্ক বলেন, "লিখে রাখুন, সত্য একদিন সামনে আসবেই।"

তিনি আরও দাবি করেন, ট্রাম্পকে অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণ করে জেডি ভ্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা উচিত।

এর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করে বলেন, “আমি নিজেই মাস্ককে বলেছিলাম প্রশাসন থেকে আলাদা হয়ে যেতে, এবং এখন সে পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছে।” এর প্রতিক্রিয়ায় মাস্ক বলেন, “এখন সময় এসেছে এক বিশাল বোমা ফেলার।”

ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে কথা বলায় একেবারেই চিন্তিত নন। তিনি বলেন, “আমি ইলন মাস্কের ইভি (ইলেকট্রিক ভেহিকল) ম্যান্ডেট বাতিল করেছি, যার কারণে সবাইকে ইলেকট্রিক গাড়ি কিনতে বাধ্য করা হতো। সেই কারণেই ইলন মাস্ক এখন রেগে আগুন।”

ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তিনি স্পেসএক্স ও টেসলার সঙ্গে সরকারের সব চুক্তি বাতিল করে দেবেন, কারণ বাজেট বাঁচানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো এসব ভর্তুকি ও চুক্তি বাতিল করা। জবাবে মাস্ক বলেন, “পারলে করেই দেখাও,” এবং ঘোষণা দেন, তিনি অবিলম্বে ড্রাগন স্পেসক্রাফট স্থগিত করবেন।

ড্রাগনের মাধ্যমে নাসার মহাকাশচারীরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যান এবং সেখানে থাকা মহাকাশচারীদের জন্য সরবরাহ পাঠানো হয়।

এর আগে মাস্ক ট্রাম্পকে খোঁচা দিয়ে বলেন, যদি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি (অর্থাৎ আমি) সহায়তা না করতেন, তাহলে ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনে হেরে যেতেন।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha